ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় কানে বিশেষ কায়দায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে নকল করায় এক পরীক্ষার্থীসহ দুজনকে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজের পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন, পরীক্ষার্থী রিনা আক্তার ও তার ভাই আব্দুল জলিল। তারা জেলার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের টুকচানপুর এলাকার আব্দুল মালেকের সন্তান।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, সারা দেশের ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে সকাল ১০টায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩ পরীক্ষা শুরু হয়। এ সময় কেন্দ্রের ১০১ নম্বর কক্ষে পরীক্ষার্থী ছিলেন রিনা আক্তার। পরীক্ষা শুরু হওয়ার প্রায় আধা ঘণ্টা পেরোলেও প্রশ্নের উত্তরপত্রে কোনো কিছু না লিখে বসে ছিলেন তিনি। তখন ডিউটিরত কেন্দ্র পরিদর্শকের সন্দেহ হলে রিনার শরীরে তল্লাশি চালানো হয়। তার কানের ভেতরে লুকিয়ে রাখা খুব ছোট একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।
পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত পরীক্ষার্থী রিনা আক্তারকে আটকের নির্দেশ দেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার ভাই আব্দুল আজিজকেও আটক করে। ইউএনওর নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ইউএনও মোহাম্মদ সেলিম শেখ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘পরীক্ষার্থী রিনা আক্তার তার কানে ডিভাইস লুকিয়ে রেখেছিল। সেই ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থী হয়তো পরীক্ষার শেষ সময়ের ১০ মিনিট পূর্বে উত্তর লেখার চেষ্টা করত। এটি করতে তার ভাই সাহায্য করেছে। তাই তার ভাইকেও আটক করা হয়। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার মাধ্যমে এ চক্রের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আটকের চেষ্টা করা হবে।
পাঠকের মতামত